পোপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বার্তা মুছে ফেলল ইসরায়েল, প্রশ্ন উঠছে কূটনৈতিক আচরণ নিয়ে
‘চির শান্তিতে বিশ্রাম নিন, পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর স্মৃতি যেন আশীর্বাদস্বরূপ হয়।’
কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই বার্তাটি সরিয়ে ফেলা হয় প্ল্যাটফর্ম থেকে।
কূটনৈতিক মিশনগুলোকে বার্তা প্রত্যাহারের নির্দেশ
রাষ্ট্রপতির শোক, প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা
‘খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মহান আধ্যাত্মিক পিতা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি ছিলেন শান্তি ও মানবতার এক অনন্য বার্তাবাহক।’
বিরোধীদের অসন্তোষ
‘সরকার ও পার্লামেন্টের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক না জানানো সত্যিই লজ্জাজনক। আমি দেশের জনগণের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।’
পেছনের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপট
একজন সম্পাদক তাঁকে “হামাসের সমর্থক” বলেও অভিহিত করেন।
পোপের প্রতি সহানুভূতিমূলক আচরণে সীমাবদ্ধতা
এমনকি তিনি কার্ডিনাল পিজ্জাবাল্লাকে গাজা সফরের অনুমতি না দেওয়ায় প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন ইসরায়েল সরকারের।
কূটনীতিকের বক্তব্য
‘আমরা কোনো ব্যাখ্যা পাইনি, শুধু একটি আদেশ—সব শোকবার্তা মুছে ফেলতে হবে। আমরা জানতে চাইলে বলা হয়, “বিষয়টি পর্যালোচনার মধ্যে আছে।” কিন্তু এই উত্তর আমাদেরও সন্তুষ্ট করতে পারেনি, এমনকি যাঁদের কাছে আমরা ইসরায়েল প্রতিনিধিত্ব করি, তাঁদেরও নয়।’
রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিল ইসরায়েল সরকার। তবে সেই শোকবার্তা কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে ফেলা হয়েছে, যা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে।
সোমবার ইসরায়েল সরকারের ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে লেখা হয়:
হিব্রু গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোকে পোপকে ঘিরে দেওয়া সব শোকবার্তা মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ভ্যাটিকানের দূতাবাসে রাখা শোকবইয়েও স্বাক্ষর করতে নিষেধ করা হয়েছে কূটনীতিকদের।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজোগ শোকবার্তা প্রকাশ করলেও, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এক্সে পোস্ট করা হেরজোগের শোকবার্তায় তিনি বলেন,
ইসরায়েলি সংসদের (নেসেট) বিরোধী দলের সদস্য গিলাদ কারিভ জেরুজালেমের ক্যাথলিক গির্জায় গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
এই ঘটনাটি ঘটেছে এমন এক সময়, যখন পোপ ফ্রান্সিস ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বারবার অবস্থান নেওয়ায় ইসরায়েলি প্রশাসনের বিরূপ মনোভাবের মুখে পড়েছিলেন।
বিশেষ করে ২০২৩ সালের গাজা যুদ্ধের সময় তিনি ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দেন, যা ইসরায়েলি মিডিয়া ও রাজনীতিকদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
পোপ তাঁর নেতৃত্বের শুরুতেই বেথলেহেমের বিভাজন প্রাচীরের সামনে প্রার্থনা করেছিলেন, যা ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-কষ্টের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এ কারণে ইসরায়েলের একাংশে তাঁর বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠে।
চলমান গাজা যুদ্ধেও তিনি প্রতিদিন গাজার একমাত্র ক্যাথলিক গির্জা "হোলি ফ্যামিলি"–র সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং বারবার গাজার মানুষের দুর্দশার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন।
এক ইসরায়েলি কূটনীতিক দেশটির ওয়াইনেট পত্রিকাকে বলেন,