Nekre News
প্রকাশঃ 29-এপ্রিল-2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

নীরব দূরত্ব: কেন বাড়ছে সাইলেন্ট ডিভোর্সের প্রবণতা?


ডিভোর্স, অর্থাৎ আইনি বিচ্ছেদ ছাড়াও কোনো দম্পতি সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারেন। এমন দম্পতির সংখ্যা কম নয়, যাঁরা বিয়ের সূত্রে এক ছাদের নিচে বাস করলেও নীরবে বিচ্ছেদের জীবন কাটাচ্ছেন। এই দম্পতিদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের স্বাভাবিক আবেগের দিকটি হারিয়ে যায়। আর এ অবস্থাকেই বলা হয় সাইলেন্ট ডিভোর্স। এ যুগে সাইলেন্ট ডিভোর্সের সংখ্যা বাড়ছে।
সাইলেন্ট ডিভোর্স–সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া কিন্তু বেশ মুশকিল। কারণ, আইনগতভাবে বিচ্ছেদ না হলে সেটির তথ্য কোথাও লেখা থাকে না। মনের বিচ্ছেদের কথা সমাজের সামনে আনতেও চান না এই দম্পতিরা। তাই কিছু বুঝতেও দেন না কাউকে। সমাজের চোখে তাঁরা হয়তো সুখী দম্পতি। বহুবিধ কারণেই বেড়ে চলেছে সাইলেন্ট ডিভোর্স। এ সম্পর্কে বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী এবং পিএইচডি গবেষক হাজেরা খাতুন।
সম্পর্কে ছেদ কেন 
সম্পর্কের ভিত হলো বিশ্বাস। ভিত নড়ে গেলেই বড্ড মুশকিল। আবার ছোট ছোট সাদামাটা অভিমান জমা হতে হতেও একসময় নীরবে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, যদি অপর পক্ষ এ অভিমানকে গুরুত্ব না দেয়। অতিরিক্ত আধিপত্য, বড় ধরনের আর্থিক সংকট কিংবা সন্তান পালন বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতের অমিলের কারণেও সম্পর্ক ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যেতে পারে। দাম্পত্যের স্বাভাবিক চাহিদা বা একে অন্যের প্রতি স্বাভাবিক নির্ভরশীলতা নষ্ট হলেও একসময় সম্পর্ক হয়ে পড়তে পারে নিষ্প্রাণ।
তবে কেন নীরবেই বিচ্ছেদ 
আবেগগতভাবে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে কেউ কেউ বেছে নেন আইনি বিচ্ছেদের পথ। তবে বিচ্ছেদের মতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে অনেকেই সামাজিক কারণে পিছপা হন। আইনি বিচ্ছেদে সমাজের কটু কথার ভয় থাকে, পরিবারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা থাকে। একা হাতে সন্তান পালনও চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, তা ছাড়া নারীর ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা হারানোর ভয়টাও থাকে। তাই দাম্পত্যের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করে আইনি সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন অনেকেই। সাধারণভাবে অনেকটা রুমমেটের মতো থেকে যান সঙ্গীর সঙ্গে।
সাইলেন্ট ডিভোর্সে কী হয়
১. দম্পতিরা একই বাসায় থেকেও আলাদা থাকেন। মানসিক ও শারীরিক কোনো সম্পর্ক থাকে না।
২. একসঙ্গে সব সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া হয় না।
৩. সন্তানের প্রয়োজন না থাকলে ছুটির দিনগুলোও আলাদাভাবে কাটান।
৪. যে বিষয়ে কথা বললেই ঝগড়া হয়, তা এড়িয়ে চলেন।
৫. রোজকার জীবনের প্রয়োজনীয় বিষয়–আশয় নিয়ে কথা অবশ্য বলেন তাঁরা। যেমন রাতের খাবারে কী আছে? কিংবা এসব বাজার আজ লাগবে।
৬. দুজনই চাকরি করলে খরচের হিসাব ভাগ করে নেন। দুজনের মধ্যে একজন করলে, তখন নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়।
৭. আর্থিক সুবিধা, বিমা–সুবিধা, শিশুর সুস্থতা, ধর্মীয় বা সামাজিক কারণ, বিবাহবিচ্ছেদের ঝামেলা, মিলনের আশা, গোপনীয়তা রক্ষা বা অন্যান্য কারণে একসঙ্গে থাকা হয়।
৮. সন্তান না থাকলে একসঙ্গে বসে খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন না।
৯. ভবিষ্যৎ নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা করা হয় না।
১০. কোনো সমস্যার সমাধান খোঁজেন না।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জয়পুরহাট-হিলি সীমান্ত দিয়ে এক ভারতীয় নাগরিককে পুশ-ইন করেছে ব

1

ইডেনে প্রবেশে ‘নিষেধাজ্ঞা’

2

ঈদের ছুটিতেও গর্ভবতী মা ও শিশুর পাশে রাণীনগরের স্বাস্থ্যকর্ম

3

জাহাজভাঙা কারখানায় মৃত্যু থেমে নেই

4

পোপের প্রয়াণে বিতর্ক? শোকবার্তা দিয়ে পিছিয়ে এল ইসরায়েল

5

স্নাতক সমমানের দাবিতে নওগাঁয় নার্সিং শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

6

চাঁদপুরে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমা দাবির ২ কোটি ৭৩ লক্

7

জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমান মাদকসহ গ্রেপ্তার

8

পোরশায় আওয়ামী লীগ নেতা সুদেব সাহা আটক

9

সান্তাহার পৌর এলাকার জলাবদ্ধতায় বেহাল অবস্থা; উদ্যোগ নেই পৌ

10

আক্কেলপুরে ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে সদস্য সংগ্রহে জামায়াত

11

কালাইয়ে ১০০জন কৃষককে নিয়ে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেসের প্র

12

আদমদীঘিতে নাশকতা মামলায় যুবলীগের এক কর্মী গ্রেপ্তার

13

ফল খাওয়ার পর পানি পান: কী হতে পারে

14

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কলম ও ফুল বিতরণ করলো

15

পাঁচবিবিতে ৫০ বছর ধরে বেদখলে থাকা সরকারি রাস্তা এসিল্যান্ডে

16

মিঠাপুর ইউপি নির্বাচন: চায়ের আড্ডায় ভেসে বেড়াচ্ছে ভবিষ্যৎ নে

17

আত্রাইয়ে কুরবানির চামড়া সংরক্ষণে লবণ বিতরণ

18

দুপচাঁচিয়ায় স্বামীর ওপর অভিমান করে স্ত্রীর আত্মহত্যা

19

কালাইয়ে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

20