চট্টগ্রামের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আজ আমরা ক্ষুব্ধ এবং হতবাক! ইসলামী ব্যাংকের অর্থ লুটপাট ও এস আলম গ্রুপকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ যখন দেশের গণমাধ্যমগুলোতে ভাসছে, তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এক অদ্ভুত কৌশল নিয়েছে। আমরা জানতে পারছি, গত দশ বছরে যারা এই অর্থ পাচারে সরাসরি সহযোগিতা করে চট্টগ্রামজুড়ে বিলাসবহুল 'ইসলামী ব্যাংক টাওয়ার'-এর নামে শতাধিক দশ তলা ভবন তৈরি করেছেন—যাদের প্রত্যেকের পকেটে ঢুকেছে ১৫ থেকে ২০টি ফ্ল্যাট এবং প্রচুর নিজস্ব প্লট—সেই রাঘববোয়াল কর্মকর্তারা দিব্যি বহাল তবিয়তে আছেন। তারা এখনও ব্যাংকের উচ্চপদে বা তাদের বোগলের নিচে সুরক্ষিত।
অথচ, এই দুর্নীতির দায় চাপানো হচ্ছে সেই জুনিয়র অফিসারদের ওপর, যাদের ছাঁটাই করে 'এস আলমের অবৈধ নিয়োগ' বলে তকমা দেওয়া হচ্ছে। নিরীহ এবং দুর্বল কর্মীদের বলির পাঁঠা বানিয়ে কি আপনারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের মূল হোতাদের আড়াল করতে চাইছেন?
ইসলামী ব্যাংক যদি সত্যিই দুর্নীতিমুক্ত হতে চায়, তাহলে তাদের উচিত এই ফ্ল্যাট-প্লট মালিক দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, আসল দুর্নীতিবাজদের চোখে ধুলো দিয়ে সাধারণ কর্মীদের ওপর অবিচার করা হচ্ছে। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে যারা নিজেদের জন্য সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, তাদের কেন এখনও আইন ও ব্যাংকের নীতিমালার ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে?
অবিলম্বে এই প্রহসন বন্ধ করুন! আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, ইসলামী ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এই 'ইসলামী ব্যাংক টাওয়ার' নির্মাণকারী প্রত্যেক ফ্ল্যাট-প্লট মালিক কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ধারায় ব্যবস্থা নিক। তাদের অবৈধভাবে অর্জিত সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত আনা হোক। শুধু জুনিয়রদের ছাঁটাই করে এই বিশাল দুর্নীতির দায় মেটানো যাবে না। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে দুর্নীতির গোড়ায় আঘাত হানতে হবে!