বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার যৌথ আয়োজনে অগ্নিকান্ড ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১২টি পরিবার এবং ৬টি প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিনামূল্যে ঢেউটিন বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আফরোজ। তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোলাম রব্বানী, ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হিটলু, সান্তাহার শহর প্রেসক্লাবের সভাপতি তোফায়েল হোসেন লিটন এবং শহর প্রেসক্লাবের সভাপতি জিললুর রহমানসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকার
বক্তারা বলেন, সরকার জনগণের দুঃসময়ে পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে অগ্নিকান্ড, বন্যা, ঝড়-তুফান ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে সরকার সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে আসছে। ঢেউটিন বিতরণ সেই উদ্যোগেরই একটি অংশ। বিতরণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনরায় বাসস্থান নির্মাণে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ তার বক্তব্যে বলেন,
"প্রাকৃতিক দুর্যোগ কারও হাতে নেই। তবে ক্ষতির পর দ্রুত পুনরুদ্ধারে সরকার সব সময় প্রস্তুত। আজ যেসব পরিবার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা জানাই এবং ভবিষ্যতেও যাতে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারি সে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন,
"প্রতিটি নাগরিকের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে সরকার ঢেউটিন ও নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। আজকের বিতরণ কার্যক্রম তারই একটি উদাহরণ।"
উপকারভোগীদের অনুভূতি
বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ঢেউটিন গ্রহণকারী একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সদস্য তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, সাম্প্রতিক অগ্নিকান্ডে তাদের ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছিলেন। এই ঢেউটিন তাদের নতুন করে ঘর তোলার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সরকারি সহায়তার জন্য তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
একজন সুবিধাভোগী বলেন,
"আমাদের তো কিছুই ছিল না, ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই ঢেউটিন দিয়ে আবার নতুন করে ঘর তৈরি করতে পারবো। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।"
মন্তব্য করুন