আ জ ম নাসির চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হওয়ার পর ঠিকাদার হিসেবে চসিকে আভির্ভাব হয় জমিরের। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জমিরই একের পর এক টেন্ডার পেতে শুরু করে। সেই টেন্ডারের কমিশন যেত নাসিরের কাছে। প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে এই জমিরের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় আ. জ. ম নাসির।
এরপর নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতা রেজাউল করিম রাতের ভোটে মেয়র ঘোষণা হলে তার আমলেও চলে মিলে মিশে লুটপাট। তবে সেই লুটপাট বেশি স্থায়ী হয়নি। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে নাম নিশানা মুছে যায় আওয়ামী লীগের কিন্তু কেউ থামাতে পারেনি জমির উদ্দিনকে।
ইংল্যান্ড ভিত্তিক বাংলা সংবাদ মাধ্যম নেকড়ে নিউজের অনুসন্ধানে জানা যায় , চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদার হিসেবে গেল ১৬ বছর লুটপাট চালালেও এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে জমির। মেয়র ডাক্তার শাহাদাতের সাথে সক্ষ্যতা গড়ে তুলে পুনরায় লুটপাটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। তবে এই সময়েও জমিরের ক্ষমতার দাপটে হতাশ বিএনপি নেতারা। হতাশ হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম লিখেন,
(হুবহু তোলে দেয়া হলো) গত জুলাই- আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় আজম নাসিরের পাসে থেকে ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী এবং ছাত্র জনতার উপর হামলার মামলার আসামী, কিভাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে সারাদিন ও গভীর রাতে ফাইল নিয়ন্ত্রণ করে??
মহেশখালী জাইকা প্রকল্পের প্রথম ধাপেই ২২ কোটি টাকা লুটপাটকারী সিন্ডিকেট এর প্রধান। কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সাথে দুর্নীতি ও লুটপাট মামলার আসামী, ২০২১-২০২৪ সাল পর্যন্ত এস আলমের সাথে সিন্ডিকেট করে মহেশখালী - মাতারবাড়ির শত শত মানুষের সম্পদ কৌশলে নিজ আয়ত্বে নিয়ে এস আলমের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি দেখিয়ে শত কোটি টাকা ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেওয়া গ্রুপের সদস্য, গত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় আজম নাসিরের পাসে থেকে ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী এবং ছাত্র জনতার উপর হামলার মামলার আসামী, ছবিতে লাল চিহ্নিত জমির উদ্দিন রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভবনে কি করে?
খবর নিয়ে জানা যায় এই জমির উদ্দিন না চাইলে সিটি কর্পোরেশনের বহু আমলা ফাইলে স্বাক্ষর করে না? Drshahadat Hussen সাহেবরা যখন পুলিশের লাথিগুতা খাইতো তখন এই জমির উদ্দিন গং ছিলো আজম নাসির এবং এস আলমের কুলে’র ভালোবাসা। যুগে যুগে ধান্ধাবাজ আর লুটপাটের খলনায়কেরা সব জায়গায় সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগী!!
আ জ ম নাসিরের আরেক শিষ্য মহেশখালী কুতুবদিয়ার সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিককে সাথে নিয়ে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে প্রভাব বিস্তার করে কমিশন বাণিজ্যের মাষ্টারমাইন্ড ছিলেন জমির উদ্দিন। যার ভাগ যেত আ জ ম নাসিরের কাছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পেয়েছেন আলাদিনের চেরাগ। পৈতৃক দশকানি জমি থেকে হয়েছেন হাজার কোটি টাকার মালিক। সম্প্রতি ব্যাংকের সাথে লিয়াজো করে প্রায় একশো কোটি টাকা মূল্যের কক্সবাজারে মেরি গোল্ড হ্যাচারি নিলাম থেকে নিয়েছেন নাম মাত্র মূল্যে।
দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারের দোসর জমির উদ্দিন কিভাবে চসিকে কাজ করে, এখনো কিভাবে কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করে সে বিষয়ে জানার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের কাছে একাধিকবার জানতে চাইলেও তিনি উত্তর দেননি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত জমির উদ্দিনের বক্তব্যের জন্যও তার সাথে হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি কিন্তু তিনিও উত্তর না দেয়ায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন