জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গভীর নলকূপের ড্রেনম্যান ও পাশের পুকুরের দুই প্রহরীকে বেঁধে রেখে মারধর করে গভীর নলকূপের তিনটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের উলিপুর-২ মৌজার একটি গভীর নলকূপে ঘটেছে।
গভীর নলকূপ মালিক পক্ষ ও ড্রেনম্যান সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে গভীর নলকূপে যায় ড্রেনম্যান হেলাল পরামানিক। নলকূপের দরজার কাছে ড্রেনম্যান হেলাল পৌঁছালে দশ থেকে এগারো জন দূর্বৃত্ত তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে ও মারধর করে। এক পর্যায়ে পাশের পুকরের দুই প্রহরী অনান্য দিনের মতো ওই নলকূপে আসলে তাদেরও বেঁধে রাখে দূর্বৃত্তরা। রাত ৯ টা থেকে ভোর পর্যন্ত দূর্বত্তরা সেখানে অবস্থান করে তিনটি ১০ কেভিএ ট্রান্সফরমার বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নামিয়ে ভেতরের তামার অংশ নিয়ে চলে যায়। পরে সকালে ড্রেনম্যান ছাড়া পেয়ে বিষয়টি মালিক পক্ষের লোকজনদেন জানায়।
আরো জানা গেছে, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে নেওয়া ওই গভীর নলকূপটি পাঁচ জনের অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়। ওই নলকূপের আওতাধীন প্রায় ১’শ ৫ বিঘা জমিতে বর্তমানে ধান রোপন করা আছে। ট্রান্সফরমার তিনটির আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।
ড্রেনম্যান হেলাল পরামানিক বলেন, তারা প্রায় দশ থেকে এগারো জন ছিল। প্রথমে আমাকে ও পরে দুইজনকে বেঁধে রেখে মারধর করেছে। আমার গলায় খুঁর ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকী দিয়েছে। তাদের কয়েক জনের হাতে হাসুয়াও ছিল। ট্রান্সফরমার নামিয়ে তারা ভোরের দিকে চলে গেছে।
গভীর নলকূপটির অংশীদার সাইদুর রহমান বলেন, বর্তমানে নলকূপ নিয়ে আমরা ব্যপক চিন্তার মধ্যে আছি। এইভাবে প্রতি বছরই চুরি হয়। নলকূপে লোকজন রাখাও এখন বিপদজনক হয়ে গেছে। আমার ড্রেনম্যানকে বেঁধে রেখে ৩টি ট্রান্সফরমারের কয়েল চুরি করে নিয়ে গেছে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ যাতে এই ধরণের চুরির বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়ে অপরাধীদের কঠিণ শাস্তির আওতায় নেওয়া হয়।
উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মুনছুর আলী সরদার জানান, ঘটনাটি অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করবো।
আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, এ বিষয়ে থানায় এখনও কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন