ধান ও চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ মজুত বন্ধে নওগাঁয় যৌথ অভিযান
চালিয়েছে জেলা খাদ্য বিভাগ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানে অনুমোদনহীনভাবে ধান ও চাল মজুত ও খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন এবং
গুদাম ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়মও দুই প্রতিষ্ঠানকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা
আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন রাইস মিল ও গুদামে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে
নেতৃত্ব দেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার। তিনি বলেন, বাজারে চালের
দাম বাড়ার পেছনে মজুতদারির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। এজন্য
আমরা সরেজমিনে অভিযানে নেমেছি। যেসব রাইস মিলে অতিরিক্ত মজুত, নিয়ম না মেনে
সংরক্ষণ কিংবা লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার
বলেন, সদর উপজেলার বরেন্দ্র রাইস মিল ও কে.এস অটোমেটিক রাইস মিলে অভিযান
চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায়, অনুমোদনহীনভাবে ধান ও চাল মজুত রয়েছে।
সেইসঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়মও
ধরা পড়ে। এ কারণে প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে মোট ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা
হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক
রুবেল হোসেন বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছি। আজকের অভিযানে মজুত ও
সঠিকভাবে খাদ্যপণ্য সংরক্ষণের বিষয়ে যেসব ত্রুটি পেয়েছি, সেগুলোর জন্য
জরিমানা আরোপ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে
আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা। অভিযানে
সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয় এবং লাইসেন্স ও সংরক্ষণ নীতিমালার আওতায় আসার
নির্দেশ দেওয়া হয়।
জনস্বার্থে এমন অভিযান চলমান থাকবে। মজুত ও বাজার কারসাজির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন